শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
বোরহানউদ্দিনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ : বাড়ীতে ডেকে নিয়ে হত্যার চেষ্টা

বোরহানউদ্দিনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ : বাড়ীতে ডেকে নিয়ে হত্যার চেষ্টা

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি ॥ ভোলার বোরহানউদ্দিনে লাবনী (২১) নামের এক মেয়েকে ডেকে নিয়ে রুবেল নামের তাঁর প্রেমিক কতৃক ধর্ষণ ও তাঁর পরিবার-পরিজন সহ হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১০ আগস্ট, সোমবার লাবনী স্থানীয় রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। ওই সময় লাবনীর পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেননি বলে অভিযোগ করেন। সে সাথে জনপ্রতিনিধিদের কাছে লাবনীর পরিবার বার বার ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি বলেও তিনি অভিযোগ করেন। লাবনী উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের রাজমিস্ত্রী মো. সিরাজের মেয়ে। রুবেল একই এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে।
লাবনী তাঁর বক্তব্যে জানান, রুবেলের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক আড়াই বছরের। এর মধ্যে আমাদের কথা-বার্তা, দেখা-শুনা হত। বিয়ের কথা বললেই রুবেল আর ক’টা দিন পরে বলে সময় নিত। প্রতিজ্ঞা করে আমাদের আংটি বিনিময় হয়েছে। ঈদ-উল-আযহার আগে ঢাকায় আমাদের বিয়ে হবে বলে আমাকে ঈদের ৪-৫ দিন আগে ঢাকা আসতে বলে। ঢাকা যাওয়ার জন্য গঙ্গাপুর লঞ্চঘাটে এক লোকের মাধ্যমে ঢাকা যাওয়ার জন্য বিকাশে তিন হাজার টাকা পাঠায়। আমি লঞ্চে ঢাকা চলে যাই। সদরঘাটে রুবেল আমাকে নিতে আসে। ওই স্থান থেকে আমাকে অসুবিধা আছে বলে আমার নাক-মুখ ঢেকে রাখে। ঢাকার কোন এলাকার একটি খালি বাড়িতে নিয়ে যায় তবে কোথায় এটা জানা সম্ভব হয়নি। বিয়ের কথা বললে সে একসাথে দেশে গিয়ে বিয়ে করবে বলে জানান। ওই বাড়িতে আমি বাঁধা দেয়া সত্ত্বেও সে ৪ দিন আমাকে দৈহিক মিলনে বাধ্য করে। ঈদের আগের দিন আমরা উভয়ে দেশে ফিরে আসি।
ঈদের দিন আমাকে রুবেল তাঁর বাড়িতে যেতে বলে। বিকালে আমি ওই বাড়ি যাই। কিন্তু তাঁর পরিবারের লোকজন আমার দিকে তেড়ে আসলে আমি বাড়িতে চলে আসি। পরদিন সকালে সে ফোনে বলে বাড়ির সবাইকে ম্যানেজ করেছি। তুমি আমাদের বাড়িতে চলে এসো। আমি সরল মনে তাঁদের বাড়িতে যাই।
বাড়িতে ঢোকার পর-পর রুবেল, তাঁর বাবা-মা, ভাই-বোন সহ ৭-৮ জন ছেলে আমার উপর হামলা করে। যার হাতে যা ছিল তা দিয়ে আমাকে মারতে থাকে। এক সময় আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখি আমি হাসপাতালে। আমার সারা দেহ রক্ত জমে লাল হয়ে আছে। পরে জানতে পারি স্থানীয় কেরামত হাওলাদার ও সৈয়দ আহমেদ মোল্লা ওই বাড়ির পাশ দিয়ে যাবার সময় আমাকে আর না পিটানোর অনুরোধ করে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। পরে কিভাবে যেন খবর শুনে আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জোবায়েদ আমাদের বাড়িতে আসেন। পুলিশ আসে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করা হবে বললে পুলিশ চলে যায়। আমরা থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নেননি। চেয়ারম্যানের কাছে বার বার ধর্ণা ধরেও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান পাওয়া যায়নি। সংবাদ সম্মেলনে মেয়ের বাবা মো. সিরাজ ও মিনারা বেগম উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা তাঁেদর মেয়ের উপর অত্যাচারের ন্যায় বিচার দাবি করেন।
ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেরামত হাওলাদার ও সৈয়দ আহমেদ মোল্লা জানান, আমরা ওই পথ দিয়ে যাবার সময় কান্না আর হৈ-চৈয়ের শব্দ শুনতে পাই। মানুষ মানুষকে এভাবে মারতে পারে তা এটা না দেখলে বিশ^াস হত না। আমরা উভয়ে মেয়েটিকে ছাড়ানোর চেষ্টা করি। আর না পিটানোর অনুরোধ করি। ঘটনা যা-ই হোক চেয়ারম্যান মেম্বারের শরনাপন্ন হতে বলি।
এ ব্যাপারে প্রেমিক রুবেলের মোবাইল ফোনে(০১৭৮০-৩৬৫১২৯)নাম্বারে একাধিবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে কুতুবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জোবায়েদ জানান, আমি গিয়ে ওই মেয়েকে আধা অচেতন অবস্থায় পাই। পরে সে জ্ঞান হারায়। তাঁকে প্রচুর মারধর করা হয়েছে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে স্থানীয়ভাবে ফয়সালার জন্য দিন-তারিখ ধার্য করি। একবার বসার পর আবার মঙ্গলবার(১১ আগষ্ট) ওই বিষয় নিয়ে বসা হবে। বোরহানউদ্দিন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান সাদী জানান, হাসপাতালে আনার পর আঘাতের ফলে ওই রোগীর মাথা ফোলা পাওয়া যায়। এছাড়া পিঠ, মুখ, বাঁ কাধ, গলা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশের চামড়া ছিলা ছিল। বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন জানান, মেয়েটির পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এফআইআর হয়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com